আবারও বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। একইসঙ্গে নিষেধাজ্ঞার খড়গও নেমে এসেছে তার ওপর। এক বছরের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বল করতে পারবেন না সাকিব।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমের কাছে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে সাকিবের নিষেধাজ্ঞার এই তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতীয় দলের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের ওপর ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) অধীন প্রতিযোগিতায় বোলিং করার নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে। গত মাসে ভারতের চেন্নাইয়ে শ্রী রামচন্দ্র স্পোর্টস সায়েন্স সেন্টারে পুনর্মূল্যায়নের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ক্রিকেটের পাশাপাশি সাকিব রাজনীতির সঙ্গেও সম্পৃক্ত ছিলেন। সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের হয়ে মাগুরা-১ আসনের প্রার্থী ছিলেন। বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন। তবে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হওয়ার পর সাকিবের বিরুদ্ধে দেশে হত্যা মামলা হয়েছে। সাকিবের ইচ্ছা ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুর টেস্ট খেলে এ সংস্করণ থেকে বিদায় নেওয়ার। তবে নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে তার দেশে আসা হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আর দেশেই ফিরতে পারেননি তিনি।
প্রথমে কাউন্টি খেলতে গিয়ে অ্যাকশন ত্রুটিপূর্ণ প্রমাণিত হওয়ায় ইংল্যান্ড ক্রিকেটে বোলিংয়ে নিষিদ্ধ হন সাকিব। পরে সেখানে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দেন। ইংল্যান্ডের পর চেন্নাইয়ে এক দফা পরীক্ষা দিলেও পাস করতে পারেননি। চেন্নাইয়েই আরও একবার অ্যাকশনের পরীক্ষা দিয়েছেন। তাতেও ব্যর্থ হলেন।
এর আগে, সাকিবের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলা নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। সাকিবকে দলে নেওয়ার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলবেন জানিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘সাকিব এখনও অবসর নেয়নি। সাকিব যদি অবসর নিয়ে নিত, তাহলে বলতাম ও আর নেই। নির্বাচকরা আমাদের কাছে দল গঠনের আগে পলিসি জানতে চান। সাকিবকে নিয়ে আরেকবার চেষ্টা করব চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে। এটা নিয়ে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলব।’
স