প্রিন্ট এর তারিখঃ মে ২৫, ২০২৫, ৫:৪৮ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ জানুয়ারী ২৪, ২০২৫, ৩:৪৬ পি.এম
দাবি নিয়ে আর ঢাকা আসবেন না বলে যে হুঁশিয়ারি দিলেন শিক্ষকরা
দশম গ্রেডের দাবিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আন্দোলন ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। এই সাত দিনের মধ্যে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ না নেয়া হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) শিক্ষক প্রতিনিধি মনিবুল হক বসুনিয়া জানান, আজ তারা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে স্মারকলিপি জমা দিতে গিয়েছিলেন। পরে প্রধান উপদেষ্টা বিদেশে অবস্থান করছেন জানিয়ে তাদের অপেক্ষা করতে বলা হয়।
বসুনিয়া বলেন, আমরা অনুরোধের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় দিচ্ছি। এর মধ্যে দশম গ্রেড বাস্তবায়ন না হলে আর ঢাকায় আসব না। স্ব-স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে কর্মবিরতি পালন করব।
প্রাথমিক শিক্ষক আন্দোলনের সমন্বয়ক মাহবুবুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, তাদের সঙ্গে প্রতারণা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে নেয়া হয় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে। আর সেখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছিলেন না। বিষয়টিকে ‘শুভঙ্করের ফাঁকি’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এরআগে, বিকেল ৩টা ৪০মিনিটের দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করেন এসব শিক্ষকরা। পরে পদযাত্রাটি শাহবাগ থানার সামনে আসলে ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয় পুলিশ। বাঁধা পেয়ে শিক্ষকরা রাস্তার ওপরে বসে পড়েন।
পরে পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের আলোচনার প্রস্তাব দেন। এসময় শিক্ষকরা রাজি হয়ে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের নাম প্রস্তাব করেন। পরে তাদের শাহবাগ থানার ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাদের যমুনায় নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। তবে পরে তাদের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে নেয়া হয়।
এদিকে দশম গ্রেডে বেতন স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে সকালে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে জড়ো হতে থাকেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। এ সময় এক দফা এক দাবির সমবেত স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে সমাবেশস্থল।
শিক্ষকরা জানান, ২০১২ সাল থেকে নানা দাবিতে মাঠে নামলেও পূরণ হয়নি কিছুই। শিক্ষকদের মানুষ গড়ার কারিগর বলা হলেও গ্রেড বৈষম্য দূর করতে সরকারের পক্ষ থেকে উল্লেখযোগ্য কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি বলেও জানান তারা। শিক্ষকদের এই দাবির সঙ্গে একাত্মতা জানায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। তাদের মতে শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবি বিবেচনায় রেখে গ্রেড বৈষম্য দূর করা উচিত।
স
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত