সিলেট জেলা প্রেসক্লাব
ভিসা জালিয়াতির মাধ্যমে ৬০ লাখ টাকা নিয়ে লাপাত্তা এই আদম ব্যবসায়ী উবায়দুর রহমান। এ ব্যাপারে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসমানীনগর উপজেলার দয়ামীর এলাকার এস কে রফিকুর রহমানের ছেলে এস কে আজাদ আমীন।
এ ব্যাপারে তিনি আইনশৃঙখলা বাহিনীর দ্রুত হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, ওসমানীনগরের দক্ষিন তাজপুর গ্রামের সৈয়দ সাইফুর রহমানের ছেলে সৈয়দ উবায়দুর রহমান বর্তমানে সিলেট নগরীর কুয়ারপাড় এলাকার ইঙ্গুলাল রোডের ৩৭নং বাসার ভাড়াটিয়া বাসিন্দা।
তিনি যুক্তরাজ্যের ৬টি ওয়ার্ক পারমিট ভিসার ব্যবস্থা করে দিতে ২০২২ সালের শুরুর দিকে আজাদ আমীনের সাথে ১০ লাখ টাকা করে মোট ৬০ লাখ টাকার চুক্তি করেন। এরমধ্যে অগ্রিম হিসাবে ২ লাখ টাকা করে মোট ১২ লাখ টাকা তাকে দেয়া হয়। কয়েক মাস পর উবায়দুর ভিসা হয়েছে বলে তাদের জানান এবং হোয়াটসঅ্যাপে ভিসার ছবি পাঠান।
আজাদ আমীন তখন ব্যাংকের মাধ্যমে তার অবশিষ্ট ৪৮ লাখ টাকা প্রদান করতে চাইলে উবায়দুর নগদ টাকা তার হাতে তুলে দিতে বারংবার অনুরোধ করেন এবং এক পর্যায়ে তারা নগদ ৪৮ লাখ টাকা তার হাতে তুলে দেন। এরপর তার হাতে ভিসা সংবলিত পাসপোর্ট তুলে দেয়ার কথা থাকলেও তিনি কুরিয়ার সার্ভিসে পাসপোর্ট পাঠান।
কিন্তু পাসপোর্টে কোনো ভিসা ছিলনা। তখন তারা প্রতারিত হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পারেন। এরপর থেকে নানা টালবাহান করতে থাকেন উবায়দুর রহমান। সব টাকা ফেরৎ দিতে একের পর এক তারিখ করতে থাকেন। এলাকাবাসীর মধ্যস্থতায় এক পর্যায়ে গেলো বছরের ২১ জুলাই তিনি ২ লাখ টাকা করে পূবালী ব্যাংক ও ডাচ- বাংলা ব্যাংকের ৬টি চেক প্রদান করেন। কিন্তু চেকগুলো ডিজঅনার হলে আবারও মধ্যস্থতাকারীদের সহায়তায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন ৯ ডিসেম্বর (২০২৪) চেকগুলো ক্যাশ হবে। কিন্তু ১০ ডিসেম্বর আবারও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানান, একাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা নেই। এরপর গত ১২ ডিসেম্বর উবায়দুরের নামে তিনি লিগ্যাল নোটিশ পাঠালেও তার পক্ষ থেকে কোন উত্তর পাওয়া নি।
এর এক মাস পর গত ১৪ জানুয়ারি সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১নং আমলি আদালতে পৃথক দুটি মামলা (নং ওসমানীনগর সিআর ১৬/২৫ ও ১৭/২৫) দায়ের করেন আজাদ আমীন। এছাড়া ভিসা জালিয়াতির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দায়েরের বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন।
আজাদ আমীন জানান, কেবল আমিই নই, আমার মতো আরো অনেকের সাথে একই ধরনের প্রতারনা ও জালিয়াতি করে উবায়দুর রহমান তার দুই বোনকে ইংল্যান্ড পাঠিয়েছে। নিজের বাসা আরও সম্প্রসারিতসহ বিলাসী জীবন যাপন করছে।
এইসব দালালদের প্রতারণার কারনে সিলেট নগরী তথা বৃহত্তর সিলেটের অনেকে প্রতারিত হচ্ছেন বলে জানা গেছে ।
স