1. motinbishnes@gmail.com : সোনালী সিলেট : সোনালী সিলেট
  2. info@www.sonalisylhet.com : সোনালী সিলেট :
বুধবার, ২৮ মে ২০২৫, ০১:০০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
সিলেটে ভূমি মেলা, জেলা প্রশাসক ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে মঙ্গলবার সচিবালয়ে দর্শনার্থী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আ. লীগের দোসর পেলেন জুলাই যোদ্ধার অনুদান শেখ হাসিনাকে ৩ জুন ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি এনআইডি সার্ভারে আঙুলের ছাপ নিয়ে জটিলতা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফা আলোচনা জুনে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের এক নারী কর্মচারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ কোরবানির পশু জবাই করে বজ্র ড্রেইনে না ফেলে সিসিক ঘোষিত নির্দিষ্ট স্থানে বজ্র ফেলুন দায়িত্ব সম্পূর্ণ করেই সরকারকে যেতে হবে, মাঝপথে চলে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই মে মাসের ২৪ দিনে এল সোয়া ২ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স

এমসি কলেজে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলা চলবে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে

সোনালী ডেস্ক🖊
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫
  • ৫৫ বার পড়া হয়েছে

 

সিলেটের মুরারী চাঁদ (এমসি) কলেজ ছাত্রাবাসে এক তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলা বদলি করতে হাইকোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে আবেদন প্রত্যাহার করে নিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। ফলে সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ২০২০ সালে এক তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় দুই অভিযোগের বিচার চলবে দ্রুত বিচার

হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন প্রত্যাহার করে নেওয়ায় সোমবার (১৭ মার্চ) সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ খারিজ করে এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ। রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আব্দুল কাইয়ুম, ব্যারিস্টার ওমর ফারুক, ব্যারিস্টার কামারুন মাহমুদ দীপা।

২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী বাদী হয়ে শাহ পরান থানায় মামলা করেন।

মামলায় আটজনকে অভিযুক্ত করে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে একই বছরের ৩ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।

আইনজীবী এম আব্দুল কাইয়ুম লিটন জানান, মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর চেয়ে রিট করেছিলেন ভিকটিমের স্বামী। আজকে প্রায় দুই বছর পরে মামলার শুনানি হয়। রাষ্ট্রপক্ষ নিজেদের আপিল প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এর মাধ্যমে হাইকোর্টের আদেশ বহাল থাকলো। এখন এ বিচারকাজ দ্রুততার সঙ্গে ত্বরান্বিত হবে এবং যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত হবে বলে আশা করি। মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণ স্টেজে ছিল। তারপর এটি আর এগোয়নি বলে জানান আইনজীবী।

এ ধর্ষণ মামলায় ২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মোহিতুল হক চৌধুরী।

অভিযোগপত্রে আসামিরা হলেন- সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি, তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল ও মিসবাউল ইসলাম ওরফে রাজন, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুম।

এছাড়া এ ঘটনায় চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়রা আদালতে পৃথক চার্জশিট দেওয়া হয়। পরে বাদীপক্ষ হাইকোর্টে আসলে দুটি মামলা এক আদালতে চলবে বলে আদেশ দেন হাইকোর্ট। এরপর ২০২২ সালের ১১ মে ছিনতাই ও চাঁদাবাজির ঘটনায় অভিযোগ গঠন করে আদেশ দেন আদালত।

২০২১ সালের জানুয়ারিতে ধর্ষণ মামলায় এবং চাঁদাবাজির মামলায় ২০২২ সালের মে মাসে অভিযোগ গঠন করা হয়। কিন্তু সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়নি। এ কারণে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার চেয়ে মামলার বাদী হাইকোর্টে রিট করেন। শুনানি শেষে ২০২২ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে একই বছরের ১৫ ডিসেম্বর রায় ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। রায়ে ৩০ দিনের মধ্যে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বদলির জন্য গেজেট জারি করতে নির্দেশ দিয়েছেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করেছিল।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট