1. motinbishnes@gmail.com : সোনালী সিলেট : সোনালী সিলেট
  2. info@www.sonalisylhet.com : সোনালী সিলেট :
মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ০১:৩৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
ঢাকা সিলেট মহাসড়ক সংস্কারে ঘোষণা” সিলেটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) সারওয়ার আলম সিলেট রেলস্টেশনে যাত্রীসেবার মান উন্নত হলেও টিকিট কালোবাজারিদের হাতে ২ মিনিটে টিকিট শেষ হয়ে যায় এটা কোনো সিস্টেম হতে পারে না ডিসি আন্দোলন করেও ঠেকানো যাচ্ছেনা ধোপাজান চলতি নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন জগন্নাথপুরে ৪ এমপি প্রার্থী একজোট, ধানের শীষে দিবো ভোট বিমানের মনিটর ভাঙচুর” মদ্যপ ছিলেন শওকত, নারী ক্রুদের সাথেও দুর্ব্যবহার করেন বিশ্বনাথে বিএনপির লুনা ইলিয়াছ ও হুমায়ুন কবিরের সমর্থকদের মধ্যে সং-ঘ-র্ষ মাসুদ রানা সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন ৯ লিজিং কোম্পানি অবসায়নের সিদ্ধান্ত নিল সরকার এসএমপির হুশিয়ারি: প্রথমবার তিন হাজার, ২য় বার ৬ হাজার টাকা

আমরা এখন এতিম হয়েগেছি- নিহত সোহাগের সন্তান

সোনালী ডিজিটাল ডেস্ক🖊
  • প্রকাশিত: শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫
  • ৬৫ বার পড়া হয়েছে

 

চাঁদা না দেওয়ায় ঢাকার মিটফোর্ড এলাকায় পৈশাচিক কায়দায় হত্যার শিকার বরগুনার সন্তান লাল চাঁদ ওরফে সোহাগের ছেলে সোহান (১০) ও মেয়ে সোহানা (১৪) কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমরা এখন এতিম হয়ে গেছি। বাবা আমাদের ছেড়ে চলে গেলো। যারা বাবাকে মেরেছে, আমরা তাদের ফাঁসি চাই।

নিহত সোহাগের নানা বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামে। শুক্রবার (১১ জুলাই) সকালে ঢাকা থেকে নিহত লাল চাঁদ ওরফে সোহাগের মরদেহ বরগুনায় নিয়ে আসেন স্বজনরা। পরে নানা বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। তার মৃত্যুতে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া, চলছে স্বজনদের আহাজারি।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মাত্র সাত মাস বয়সে বজ্রপাতে সোহাগের বাবা আইউব আলী মারা যান। এরপর তার মা আলেয়া বেগম জীবিকার তাগিদে সন্তানদের নিয়ে ঢাকায় চলে যান। ঢাকায় থেকেই সোহাগ বড় হয়েছেন এবং মেসার্স সোহানা মেটাল নামের একটি দোকান পরিচালনা করতেন পুরান ঢাকার মিডফোর্ড এলাকায়। দীর্ঘদিন ধরে দোকান থেকে প্রতি মাসে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছিল একটি সন্ত্রাসী চক্র। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় বুধবার বিকেলে সোহাগকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখে তারা। এতেও চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সোহাগকে নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে পাথর মেরে হত্যা করা হয় বলে জানান স্বজনরা।

নিহত সোহাগের মরদেহ নিজ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছালে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী ও এলাকাবাসীর মধ্যে শোক ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

সোহাগের বোন সাজেদা বেগম বলেন, আমার ভাই প্রায় ১০-১৫ বছর ধরে ব্যবসা করছিলেন। প্রতি মাসে তার কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। এছাড়াও তার ব্যবসাটাও নিয়ে নিতে চেয়েছে অভিযুক্তরা। তবে আমার ভাই তাদেরকে চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে তারা আমার ভাইকে ডেকে নিয়ে মারধর করেন এবং নির্মমভাবে পাথর মেরে হত্যা করে।

নিহতের স্ত্রী লাকি বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার স্বামীর ব্যবসা সহ্য হচ্ছিল না ওদের। দীর্ঘদিন ধরেই আমার স্বামীর দোকান থেকে চাঁদা দাবি করে আসছিল হত্যাকারীরা। তারা প্রতি মাসে দুই লাখ করে টাকা চাইছিল। আমার স্বামী তা দিতে চায়নি। শেষমেশ আমার স্বামীকে মেরেই ফেললো।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট