শুক্রবার সিলেট নগরীর বেশকিছু বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র বাজার কিছুটা সহনীয় হলে ও কমেনি কয়েটি পণ্যের দাম, ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চললে দোকানিরা কিছুটা হলে ভয় পায়।
এখনও ভোজ্যতেলের সংকট কাটেনি। দোকানীরা বলছেন, যোগান কমে আসার নেপথ্যে রয়েছে মিলার-ডিলার সিন্ডিকেট। কোথাও কোথাও মিললেও ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে বাড়তি অর্থ। জুড়ে দেয়া হচ্ছে অন্য পণ্য কেনার শর্ত।
লেবু আর ভোজ্যতেলের সংকট কাটেনি, এখনো ১০০ থেকে ১২০ দরে বিক্রি হচ্ছে লেবুর হালি ভোজ্যতেল সয়াবিন ৫ লিটারি বিক্রি বন্দ করে দিয়েছে দোকানীরা, ভ্রাম্যমান আদালত ঠিকই ওদের জরিমানা করে, যখননি ভ্রাম্যমান আদালত চলে যায় ঠিক তখনি সেই আগের চিত্র, এদের লজ্জা সরম বলতে কিছুই নাই ।
ভোজ্যতেলসহ কিছু পণ্যে শুল্ক কমিয়েছে সরকার। তবে সুফল পাচ্ছেন না ভোক্তারা। এবারের রোজায় গত বছরের তুলনায় সয়াবিন তেল আমদানি বেড়েছে ৩৪ শতাংশ। তার পরও দূর হচ্ছে না সংকট।
দাম কমেছে গরু ও খাসির মাংসের। রোজার আগে হঠাৎ করে চড়ে যাওয়া খাসির মাংসের দাম কেজিতে ২শ’ টাকা কমে মিলছে ১০০০’ টাকায়। একই চিত্র গরুর মাংসের দোকানেও। কেজিতে ৫০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৭৫০ টাকা কেজিতে।
অপরিবর্তিত রয়েছে মুরগির বাজারের দর। ব্রয়লার মুরগির জন্য দিতে হবে ১৮৫ টাকা কেজি। আর লেয়ারের জন্য গুণতে হবে ৩শ’ টাকা প্রথম রমজানের পর থেকে এখন কিছু সহনীয় হয়ে আসছে মুরগির বাজার ।
আগের চড়া দরেই স্থিতিশীল মিনিকেট ও নাজিরশাইলের দাম। ব্যবসায়ীদের দাবি, ভারত থেকে আমদানির প্রভাব পড়েনি বাজারে। কেননা যৌক্তিক দামে একই মানের চাল আনা যায়নি।
শীতকালীন মৌসুমি সবজিও শেষের পথে। বাজারে ঝিঙা প্রতি কেজি ৫০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, ক্ষীরা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, পটল ১০০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা কেজি করে বিক্রি হচ্ছে। ফুল কপি প্রতি পিস ৪০ টাকা, বাধা কপি ৩০, গাজর প্রতি কেজি ৩০ টাকা, কাঁচা কলা প্রতি হালি ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ১০০ টাকা, শিম ৩০ থেকে ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, টমেটো ২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। জালি কুমড়া প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, আলু প্রতি কেজি ২৫ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৫০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গত কয়েক রমজানের পর এবারের রমজান মাসে নিত্যপণ্যের বাজার মূল্য অনেকটা ক্রেতাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে মনে করেন ক্রেতারা, বিক্রেতারাও বলেছেন মানুষের ক্রয় ক্ষমতার ভিতরে রয়েছে বেশিরভাগ নিত্যপণ্যে।