উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বারুইপুর অভিযানকে কেন্দ্র করে উত্তাল বিধানসভা ওয়াকআউট বিজেপি বিধায়কদের। কেন বিরোধী দলনেতার ওপর হামলা হল? তা জানার জন্য গেরুয়া শিবিরের বিধায়কেরা ওয়েলে নেমে কাগজ ছিঁড়ে, কালো পতাকা দেখিয়ে তুমুল বিক্ষোভে সামিল হলেন।
বৃহস্পতিবার বিধানসভা অধিবেশন শুরু হতেই শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ মালা শঙ্কর ঘোষ ,শুভেন্দু অধিকারীর ওপর হামলার প্রসঙ্গ তুলে রাজ্য সরকারের বিবৃতি দাবি করেন। তাঁর কথা শোনার পর কার্যত নীরব দর্শকের ভূমিকায় স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখা গেলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বিজেপি বিধায়কেরা।
পকেটে থেকে কালো রুমাল বের করে শোরগোল শুরু করেন। বিধানসভার কার্যবিবরণীর যে কাগজপত্র রয়েছে, সেগুলি ছিঁড়ে বিক্ষোভ দেখান। এরপর ওয়েলে নেমে বিক্ষোভের সুর আরও বাড়িয়ে তোলেন। বিজেপির বিক্ষোভ শুরু হতেই পালটা শাসক দলের বিধায়করাও স্লোগান দিতে শুরু করেন।
বিক্ষোভের পর সাংবাদ মাধ্যমের সামনে শংকর ঘোষ বলেন, ‘স্পিকারের নির্বাচনী ক্ষেত্র বারুইপুরে বিরোধী দলনেতার গাড়ির ওপরে আক্রমণ হয়েছে। ৫০ জন বিরোধী বিধায়কের গাড়িতে আক্রমণ হয়েছে। পরিস্থিতি এমন ছিল, যে পুলিশ ও দুষ্কৃতী মিলিত আঁতাতে বিরোধী দলনেতা-সহ বিরোধী বিধায়কদের প্রাণ চলে যেতে পারত। পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়, বারুইপুরে গিয়ে নিশ্চিতভাবে যা ঘটেছে, তার প্রমাণ। রাজ্যবাসী তা প্রত্যক্ষ করেছে।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বুধবার বিধানসভা থেকে বিকেল ৪টে নাগাদ শুভেন্দু-সহ অন্য বিধায়কেরা বারুইপুরে পৌঁছোনোর অনেক আগে থেকেই তেতে ছিল এলাকা। শুভেন্দুর যাত্রাপথে শিবানীপীঠের কাছে এবং পুরোনো বাজারে মঞ্চ বেঁধে সভার আয়োজন করেছিল তৃণমূল। শাসকদলের কর্মী-সমর্থকেরা রাস্তার দুই ধারে জড়ো হয়েছিলেন।
সভায় যোগ দিতে আসা বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে দফায় দফায় বচসা বাধে তৃণমূলের। স্লোগান, পাল্টা স্লোগান চলতে থাকে। শুভেন্দু এলাকায় ঢুকতেই কালো পতাকা দেখানো হয়। বিরোধী দলনেতার উদ্দেশে ‘গো ব্যাক’ এবং ‘চোর, চোর’ স্লোগান ওঠে। এ সবের জেরে তুলকালামের মধ্যে বিজেপির মিছিল বাতিল হয়ে যায়। রাসমাঠে সভামঞ্চের কাছে গাড়িতে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন চাই। নির্বাচন কমিশন দেখুক, এই পরিস্থিতিতে ভোট করা যায় কি না।