1. motinbishnes@gmail.com : সোনালী সিলেট : সোনালী সিলেট
  2. info@www.sonalisylhet.com : সোনালী সিলেট :
বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫, ০২:৪৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
টোকিওতে ড. ইউনূসের সঙ্গে জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ তারেক রহমান ও জুবাইদা রহমান খালাস মসজিদের ব্যাটারি চু*রি তার নেশা : সুনামগঞ্জে এসে হাতেনাতে ধরা সিলেটসহ দেশের ৬টি বিভাগে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণের আশঙ্কা মরহুমার মৃত্যুতে আজ বাদ যোহর শেখ ছানাউল্লাহ জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় মাল্টিমিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন সিলেটের আত্মপ্রকাশ ছাতকে ঘুস ও অনিয়মের অভিযোগে উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তাকে বদলি সিলেটে নজর কাড়ছে অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান প্রজাতির বাহুবলী-৪ আজ রাতে জাপান যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা সাবেক ভূমিমন্ত্রী হীরা ও তার স্ত্রীকে ছেড়ে বাসায় পৌঁছে দিলো পুলিশ

ছাতকে ঘুস ও অনিয়মের অভিযোগে উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তাকে বদলি

ছাতক প্রতিনিধি🖊
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৭ মে, ২০২৫
  • ৪ বার পড়া হয়েছে

সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকতা-পিআইও কেএম মাহবুর রহমানকে ঘুস, অনিয়ম ও লুটপাটের অভিযোগে ছাতক থেকে ভোলার দৌলতখান উপজেলায় বদলি করা হয়েছে।

সোমবার বিকালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের উপপরিচালকের (প্রশাসন-১) উপসচিব তাসনুভা নাশতারান স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে কেএম মাহবুর রহমানকে ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলায় বদলি করেন। ২ জুনের মধ্যে বদলি করা কর্মস্থলে যোগদান না করলে বর্তমান কর্মস্থল হতে স্ট্যান্ডরিলিজ বলে গণ্য করা হবে।

জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ছাতকে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা-পিআইও হিসেবে যোগদান করেন কেএম মাহবুব রহমান। তিনি যোগদানের পর থেকে উপজেলায় বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তাবায়নে লাখ লাখ টাকার ঘুস-বাণিজ্য, ভুয়া প্রকল্প, নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।

২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের টিআর, কাবিখা, কাবিটা ও এডিপির ২২৭টি প্রকল্পের বিষয়ে সম্প্রতি আবারও ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠে। তার বিরুদ্ধে।বিভিন্ন প্রকল্পের চেয়ারম্যান ও সেক্রেটারিদের কাছ থেকে অফিসে কার্য-সহকারী নাজমুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত দোয়ারাবাজার উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন পিআইও লুৎফুর রহমান ও বদলি করা পিআইও কেএম মাহবুর রহমানসহ তিনজন মিলে ১৮ লাখ টাকা ঘুস হাতিয়ে নিয়েছেন।

এ ঘুসের টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে গত ১৪ মে দুই পিআইও লুৎফুর রহমান ও কেএম মাহবুর রহমান মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনার সূত্র ধরে ১৬ মে উপজেলা পরিষদের সামনে বিকালে অফিসের কার্য-সহকারী নাজমুল ইসলাম ও কেএম মাহবুর রহমানের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছিল। এ খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে দুজনের বক্তব্য শুনে তাদের ডাকবাংলোয় নিয়ে যান।

এ সময় ইউএনওর সঙ্গে পিআইওর বাগবিতণ্ডা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পিআইও কার্যালয়ের কার্য-সহকারী নাজমুল ইসলামও। এ নিয়ে আলোচনা হয় এবং প্রকল্পের কোনো ধরনের ঘুস গ্রহণের অভিযোগ ছাড় দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম।

পরদিন ১৭ মে শনিবার অফিস করেননি পিআইও কেএম মাহবুব রহমান। ওই দিন রাতে ইউএনও বরাবরে তিন দিনের ছুটি চেয়ে একটি আবেদন লিখে ইউএনওকে না দিয়েই তার নিজ কার্যালয়ের টেবিলে রেখে ছাতক ছেড়ে যান পিআইও কেএম মাহবুব রহমান।

পিআইও কেএম মাহবুর রহমান অনুপস্থিত থাকায় প্রকল্পের কমিটির সদস্যরা পিআইও কার্যালয়ে কাজ করেও বিলের টাকা পাচ্ছেন না। এ নিয়ে জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় পিআইও কেএম মাহবুর রহমানের বিরুদ্ধে একাধিকবার সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। তার ঘুস কেলেংকারি ও অনিয়ম দুর্নীতির ঘটনায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ বিভিন্ন দপ্তরে একাধিক অভিযোগ করেন। উপজেলার উত্তর খুরমা ইউপির আলমপুর গ্রামের আলী আহমদ বাদী হয়ে এসব অভিযোগ করেছেন।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে চলতি ১৪ মে পর্যন্ত ট্রেনিংয়ের নামে দুই মাস ছাতক উপজেলার পিআইওর অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেছেন দোয়ারাবাজার উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা-পিআইও লুৎফুর রহমান।

দুই পিআইওর ঘুস-দুর্নীতি প্রকাশের ভয়ে কার্য-সহকারী নাজমুল ইসলামকে ছাতক থেকে রাঙ্গামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলায় বদলি করা হয়। তার কুকর্ম ঢাকতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করে জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন পিআইও কেএম মাহবুর রহমান।

সুনামগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা হাসিবুল হাসান ডিও পিআইও কেএম মাহবুর রহমানের বদলি আদেশের ঘটনায় বলেন, দ্রুত ছাতকে একজন পিআইও দেওয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট