দেশে হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। শুধুমাত্র দিল্লিতেই সক্রিয় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩৭৫। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সকালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৭১০। বিকেলে তা বেড়ে হয়েছে ৩৩৯৫। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। এনিয়ে কেন্দ্রীয় আয়ুষ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী প্রতাপ রাও যাদব সংবাদসংস্থাকে বলেন, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক ও আয়ূষ মন্ত্রক পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছে। এনিয়ে রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে কথা হয়েছে। গতবার কোভিডের সময়ে আমরা অক্সিজেন প্ল্যান্ট, আইসিইউ বেডের ব্যবস্থা করেছিলাম। এবার সেসব খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লি, কেরালা, উত্তরপ্রদেশ ও কর্নাটকে একজন করে করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। দিল্লিতে ৭১ বছরের এক বৃদ্ধ নিউমোনিয়া ও কিডনির অসুখে মারা গিয়েছেন। কর্নাটকে ৬৩ বছরের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। কেরালায় ৫৯ বছরের এক ব্যক্তি নিউমোনিয়ায় ভুগছিলেন। তিনি মারা গিয়েছেন। অন্যদিকে, উত্তরপ্রেদেশের ঋষিকেশ এইমস-এ কোমরিবিটি নিয়ে মৃত্যু হয়েছে ২৩ বছরের এক যুবকের।
গত ২২ মে দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ছিল ২৫৭। ২৬ মে তা বেড়ে হয়ে যায় ১০১০। আর আজ শনিবার ৩১ মে তা বেড়ে হয়ে গিয়েছে ৩৩৯৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬৮৫ জন, মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের।
কেরালায় এখনওপর্যন্ত সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ১৩৩৬, মহারাষ্ট্রে ৪৬৭, দিল্লিতে ৩৭৫, গুজরাতে ২৬৫, কর্ণাচকে, ২৩৪, পশ্চিমবঙ্গে ২০৫ জন, তামিলনাড়ুতে ১৮৫ জন, উত্তরপ্রদেশে ১১৭ জন।
সংবাদসংস্থার খবর অনুযায়ী সরকার গোটা পরিস্থিতির উপরে কড়া নজর রাখছে। এবার যে করোনার প্রজাতিটি সংমণ শুরু করেছে তার সংক্রমণের ক্ষমতা অনেকটাই বেশি। তবে এক মারণ ক্ষমতা অনেকটাই কম। অধিকাংশ রোগী ঘরেই থাকছেন।
আইসিএমআরআইয়ের ডিরেক্টর রাজীব ভেল গত সোমবার বলেন, দেশের দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চল থেকে স্যাম্পল নিয়ে তার জিনোম সিকোয়েন্স করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে ওমিক্রণের এই ভ্যারিয়ান্টটটি দ্রুত ছড়ালেও তার মারণক্ষমতা অনেকটাই কম। গোটা পরিস্থিতির উপরে সরকার নজর রাখছে।