সিলেট নগরীতে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ও রিকশার সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, এবং এর সঙ্গে গড়ে উঠেছে অসংখ্য শোরুমও।
তবে এর প্রসারে রয়েছে কিছু জটিলতা ও
প্রশাসনিক অভিযান ও নিষেধাজ্ঞায় বৃহত্তর সিলেট
মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি) সম্প্রতি নগরীর পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে (মেন্দিবাগ, নাইওরপুল, জিতু মিয়ার পয়েন্ট, রিকাবীবাজার, পাঠানটুলা) ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে।
এসব যানবাহন মূল সড়কে বেপরোয়া চলাচল করে, দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ায়, এবং অনেক ক্ষেত্রে অনুমোদনহীনভাবে পরিচালিত হয়।
সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ অনুযায়ী, অনুমতিপত্র ছাড়া গণপরিবহন চালানো নিষিদ্ধ। হাইকোর্টও কয়েকবার এসব যানবাহন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে।
সিলেটে শোরুম প্রসার ও সিসিকের পদক্ষেপ অনুযায়ী সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও লামাবাজার ও শেখঘাট এলাকায় গড়ে ওঠা বেশ কয়েকটি শোরুম সিলগালা ও করা হয়েছে ।
মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সরাসরি অভিযানে অংশ নিয়ে জানান, অর্ধশতাধিক শোরুমে অনুমোদনহীনভাবে ব্যাটারি চালিত রিকশা বিক্রি হচ্ছিল।
সিলেট নগরীতে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার নির্দিষ্ট শোরুমের বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে,
সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) এবং সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি) ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ও রিকশার বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে, কারণ এগুলো উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও শহরে চলাচল করছে।
২০১৯ সালে লামাবাজার ও শেখঘাট এলাকায় গড়ে ওঠা বেশ কয়েকটি শোরুম সিলগালা করা হয়েছিল, কারণ তারা অনুমোদনহীনভাবে ব্যাটারি চালিত যানবাহন বিক্রি করছিল।
যদিও নির্দিষ্ট অনুমোদিত শোরুমের তথ্য পাওয়া যায়নি, সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকায় যেমন:
আখালিয়া, নেহারীপাড়া, নয়াবাজার, কালিবাড়ি, মদিনা মার্কেট, বাগবাড়ি, কানিশাইল, শেখঘাট, কলাপাড়া, লাউয়াই, কদমতলী, আলমপুর, উপশহর, তেররতন, সৈদানিবাগ, সবুজবাগ, শিবগঞ্জ, লামাপাড়া, শাহী ঈদগাহ, রায়নগর, মেজরটিলা, ইসলামপুর সহ
এসব জায়গায় বৈধ ও অবৈধ চার্জিং স্টেশন রয়েছে বলে জানা গেছে ।
বিদ্যুৎ অপচয় এবং রেজিস্ট্রেশনবিহীন চলাচলের কারণে এই যানবাহনগুলোকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
প্রতিদিন হাজার হাজার রিকশা চার্জ দিতে ১০-১২ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার হয়, যা জাতীয় বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় চাপ সৃষ্টি করছে।
আপনি যদি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা কিনতে চান, তাহলে আইনগত দিক ভালোভাবে যাচাই করে নেওয়াই শ্রেয়। প্রয়োজনে সিসিক বা এসএমপি-র সঙ্গে যোগাযোগ করে অনুমোদিত বিক্রেতার তথ্য জেনে নেওয়া একান্ত প্রয়োজন ।
সাম্প্রতিক ঈদ মৌসুমে ৩২% দুর্ঘটনা ঘটেছে ব্যাটারিচালিত রিকশার কারণে।
এদিকে সিলেট নগরীতে অবৈধ সিএনজিচালিত অটোরিকশা এবং যত্রতত্র গড়ে ওঠা স্ট্যান্ড ও শোরুমগুলোর বিষয়ে জেলা প্রশাসন কঠোর অবস্থান নিয়েছে। সম্প্রতি জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম ১৫ দিনের আলটিমেটাম দিয়েছে ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে যেসব অটোরিকশার বৈধ লাইসেন্স নেই, সেগুলো নগর থেকে সরিয়ে নিতে হবে। অন্যথায় অভিযান চালিয়ে জেল-জরিমানা এবং প্রয়োজনে ডাম্পিং করা হবে ।
যেসব শোরুম অবৈধ অটোরিকশা বিক্রি বা পার্কিংয়ের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
প্রশাসন নগরজুড়ে পার্কিংয়ের জন্য নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণের পরিকল্পনা করছে, ফলে যত্রতত্র গড়ে ওঠা শোরুম বা স্ট্যান্ডের কার্যক্রম সীমিত হতে পারে।
– বৈধ শোরুমগুলো হয়তো উপজেলায় স্থানান্তরিত হতে পারে, যেখানে বৈধ অটোরিকশা চলাচলের অনুমতি থাকবে।