গত ২৩ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ৯ দিনে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে ৭ হাজার ২৬০ জন নথিবিহীন অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির অভিবাসন ও কাস্টমস বিষয়ক আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ইউএস ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট- আইসিই।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসী দমনের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ‘অবৈধ অভিবাসী’দের তাড়াতে এ অভিযান শুরু করেছে দেশটির যৌথ নিরাপত্তা বাহিনী।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে ৫ হাজার ৭৬৩ জনকে বন্দিশালায় রাখা হয়েছে। শিগগিরই তাদের নিজ নিজ দেশ কিংবা কিউবার গুয়ান্তানামো কারাগারে পাঠানো হবে। শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে আইসিই।
নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের নিউইয়র্ক সিটি, ইলিনয়েস অঙ্গরাজ্যের শিকাগো এবং ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের বোস্টন শহরে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এই নথিবিহীন অভিবাসীদের।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে অনেকের বিরুদ্ধেই ধর্ষণ, অপ্রাপ্ত বয়স্কদের প্রতি যৌন সহিংসতা, বন্দুক ও মাদক সংক্রান্ত অপরাধের অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছে আইসিই।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে বসবাস করছেন ১ লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি নথিবিহীন অভিবাসী। তাদের মধ্যে অন্তত ১ লাখকে ফেরত পাঠানোর লক্ষ্য নিয়েছে ওয়াশিংটন।
কর্মকর্তারা বাড়িঘর, কর্মক্ষেত্র এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানেও অভিযান চালিয়েছে। এছাড়া ধরপাকড়ের কারণে দেশ ছেড়ে যাওয়ার হারও অনেক বেড়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সবচেয়ে সহিংস অভিবাসীদের গুয়ান্তানামো বেতে পাঠানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
ক্ষমতায় গেলে যুক্তরাষ্ট্র অবৈধ অভিবাসীদের থেকে মুক্ত করার ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত ২০ জানুয়ারি তিনি শপথ গ্রহণ করেন। এরপর কয়েকটি নির্বাহী আদেশে সই করেন তিনি। এর মধ্যে ‘আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মার্কিন জনগণকে সুরক্ষা প্রদান’ নামের একটি আদেশও জারি করেন তিনি।