
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এমনিতেই চরম দূরাবস্থা হাসপাতালের রোগীরা ছাড়া কেউ বলতে পারবেন না সেখানকার প্রতিদিনের সমস্যার কথা । একটি বেড পেতে হলে কত ভোগান্তিতে পড়তে হয় রোগীর স্বজনদের, সিলেট ওসমানী হাসপাতাল নিয়ে প্রায় সিলেটের প্রত্যেকটি পত্রিকায় খবর প্রচারিত হয়েছে বহুবার ।
অনেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লাইভ প্রোগ্রাম করে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করেছেন, পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সিলেটের বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিকরা ও অনেক ঝুঁকির সম্মুখীন হয়েছেন । এই ধরণের ঘটনা আগে ও ঘটেছে কিন্তু দুঃখের বিষয় আজ পর্যন্ত কোন সুরাহা পাওয়া যায়নি ।
একজন রোগী কর্তব্যরত চিকিৎসককে ডাকার অপরাধে ডাঃ কর্তৃক রোগীকে হেনস্তা এটা অশুভনীয় লক্ষণ সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুরাতন ভবনের নিচতলার সার্জারী ওয়ার্ডের চিকিৎসক ডাঃ তন্ময়ের এই ব্যবহারে হাতাহাতির ঘটনাটি ঘটে ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় তিনি অত্যন্ত রাগান্বিত ।

একজন ডাঃ সরকারি কিংবা প্রাইভেট যাই হউক না কেন তাহার ব্যবহারে রোগীর রোগ অর্ধেক ভালো হওয়ার কথা , কিন্তু আমাদের দেশের চিত্ৰ সম্পুর্ন্ন উল্টো ডাঃ সাহেবদের ব্যবহারে আমাদের দেশের রোগীরা ভয় পায় একজন ডাঃ হচ্ছেন মানব সেবার কারিগর এ কথাটি আমাদের দেশের ডাঃ সাহেবের ভুলে গেছেন ।
কিছুদিন আগে এই হাসপাতালের মেঝেতে পরে থাকা এক রোগীর অবস্থা খারাপ দেখে রোগীর স্বজন ডাঃ কে ডাকতে গেলে কর্তব্যরত ডাঃ মোবাইল ফোন হাতে মোবাইল টিপছেন হটাৎ উত্তেজিত হয়ে রোগীর স্বজন কে অতক্ষ ভাষায় কথা বলে অহেতুক রেগেযান ।
সিলেট তথা দেশের সকল গরীব ও অসহায় মানুষ বাধ্য হয় সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে কেননা ক্লিনিকে ভর্তি হওয়ার মতো সামর্থ্য তাদের নাই , অথচ একটু লক্ষ্য করলে দেখবেন দেশের নামি দামি যত বড়ো বড়ো ডিগ্রিধারী ডাঃ রয়েছেন বেশির ভাগই দেশের সরকারি হাসপাতাল থেকে ডিগ্রি নেওয়া ।
যদি সরকারি হাসপাতাল থেকে এ ধরণের ডিগ্রি নিতেই হয় তাহলে কেন এই বৈষম্যতা। শিক্ষিত মানুষেদের ব্যবহার হওয়া উচিৎ শালীনতা ও ভদ্রতা অশিক্ষিত মানুষজন তাদের ব্যবহারে যেন মুগ্দ্ধ হয়
ডাঃ সাহেবদের উচিৎ দেশের মঙ্গলের জন্য হলে ও রোগীর সঙ্গে ভালো ব্যবহার করুন এতে করে আপনাদের সুনাম বৃদ্ধি পাবে মানুষ আপনাদের প্রশংসা করুক সেটাই এ দেশের মানুষের প্রত্যাশা ।