1. motinbishnes@gmail.com : সোনালী সিলেট : সোনালী সিলেট
  2. info@www.sonalisylhet.com : সোনালী সিলেট :
রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ০৮:৪২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
আ.লীগ অপকর্ম করলে ছাড় পাবে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো ৩৯ বাংলাদেশি ঢাকায় উচ্চকক্ষের পিআর নিয়ে কমিশনের বৈঠকে উত্তেজনা, পরে কোলাকুলি মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটিতে ‘রিমেম্বারিং জুলাই’ শীর্ষক ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন সম্পন্ন ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বোর্ডিং ব্রিজের চাকা ফেটে কর্মচারীর মৃত্যু ১০ আগস্ট খসড়া, ৩১ আগস্ট চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে ইসি সুনামগঞ্জে কৃতি শিক্ষার্থীদের পুরুষ্কার বিতরণ বিদেশি মেডিকেল টিমের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ অস্ট্রেলিয়ায় যেতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য সুসংবাদ টাঙ্গুয়ার হাওরে অবৈধ হাউসবোট জব্দের নির্দেশ

ওসমানীতে মিলেনি নার্স-ডাক্তার, বারান্দায় সন্তান প্রসব দুই নারীর

বিশেষ প্রতিনিধি:🖊
  • প্রকাশিত: বুধবার, ২ জুলাই, ২০২৫
  • ৩২ বার পড়া হয়েছে

 

পড়িমড়ি করে তারা হাসপাতালে পৌঁছেছিলেন। কিন্তু তবু মিলেনি ডাক্তার বা নার্স। প্রসব বেদনায় ছটফট করতে থাকা দুই নারীর প্রতি সামান্য দয়া বা করোনা দেখালেন না তারা। অতঃপর অসম্ভব যন্ত্রণা ভোগ করতে করতে ওয়ার্ডের বাইরেই ১০ মিনিটের ব্যবধানে দু’জনেই সন্তান প্রসব করেন।

ঘটনা বুধবার (২ জুলাই) বিকেলের। আর দুই প্রসুতির একজন এসেছিলেন গোলাপগঞ্জের বাউসি গ্রাম থেকে। তিনি ওই গ্রামের রতন দাসের স্ত্রী মিতালী দাস (২৫)। অযত্ন অবহেলায় একটি পূত্র সন্তান প্রসব করেছেন তিনি।

অপরজন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চাটিবহর গ্রামের মো. শাহিনের স্ত্রী সুমি বেগম (১৯)। তিনিও একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও দুই প্রসূতির স্বজনদের কাছ থেকে জানা যায়, বিকেল ৪টার দিকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৫নং ওয়ার্ডে সামনে পৌঁছান সুমি ও মিতালী এবং তাদের স্বজনরা। তাদের আত্মীয়-স্বজনরা কর্মরত নার্সের কাছে গেলেও তারা তাদের কথা শুনেনি। বরং সিরিয়াল ধরার নির্দেশ দিয়ে দুই নার্স নিজেদের মোবাইল নিয়ে ব্যাস্ত ছিলেন। রোগীর অবস্থা জরুরী বলার পরেও তারা জানিয়ে দেন তাদের করার কিছু নেই।

এ অবস্থায় বসে থাকা একজন প্রসূতির চিৎকার ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। বসা অবস্থাতেই তিনি একটা পূত্র সন্তান প্রসব করেন। তখন উপস্থিত স্বজন ও অন্যান্যরা দ্রুত আড়াল দেয়ার ব্যবস্থা করেন।

এই আড়াল দিতে গিয়েও তারা নার্সদের কাছ থেকে কোনো সহযোগীতা পান নি। একটা পর্দ করার জন্য একটা চাদর চাইলেও তারা সাড়া দেননি। অবশেষ উপস্থিত একজন মহিলা নিজের পরনের শাড়ি খুলে আড়ালে ব্যবস্থা করেন।

এর ১০ মিনিট পরে অপর মহিলাও একইভাবে একটি পুত্র সন্তান প্রসব করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নার্সরা রোগীদের সাথে এমন অমানবিক আচরণ করতে পারে- তারা তা কল্পনাও করতে পারেন নি।

প্রসবের পরে অবশ্য টনক নড়ে মোবাইলে ব্যাস্ত নার্সদের। আসেন একজন ডাক্তারও। দুই প্রসূতিকে স্থান দেয়া হয় ওয়ার্ডে।

এ ঘটনার পরপর আউট সোর্সিংয়ের সুপারভাইজার শওকতকে পাঠান ১৫নং ওয়ার্ডের কি হয়েছে জানতে। হাসপাতালের অতিরিক্ত পরিচালক তাকে পাঠিয়েছেন জানিয়ে শওকত বলেন, আমি এখানে এসে জানতে পেরেছি বারান্দায় দুই মহিলা সন্তান প্রসব করেছেন।

তিনি এর বেশী আর কিছু বলতে পারেন নি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট