সিলেটের জেলা প্রশাসক সারওয়ার আলমের কুদরত উল্লাহ জামে মসজিদে ইসলামী আলোচনা করা নিঃসন্দেহে একটি অনুপ্রেরণামূলক উদ্যোগ। একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে তাঁর এই অংশগ্রহণ স্থানীয় জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করার পাশাপাশি ধর্মীয় ও নৈতিক মূল্যবোধকে উৎসাহিত করে।
এ ধরনের আলোচনা সমাজে ইতিবাচক বার্তা ছড়িয়ে দেয় প্রশাসন ও জনগণের মধ্যে আস্থা বাড়ায়
তরুণদের ইসলামী জ্ঞান ও মূল্যবোধে আগ্রহী করে তোলে
সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলমের কুদরত উল্লাহ জামে মসজিদে ইসলামী আলোচনার মূল বিষয়বস্তু ছিল আলেম সমাজের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে সিলেটের উন্নয়ন, তিনি জোর দিয়ে বলেন।
আলেম-ওলামা ও ইমামদের ভূমিকা সমাজের নৈতিক উন্নয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সত্য ও ন্যায়ের কথা নির্ভীকভাবে উচ্চারণের আহ্বান জানান।
সৎ ও স্বল্প আয়ে সন্তুষ্ট আলেমদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ করেন এবং বলেন, “সকল সুখ-দুঃখে আমি আপনাদের পাশে আছি।”
সিলেটের উন্নয়নে উদার চিত্তে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান।
এই আলোচনার প্রেক্ষিতে আলেম সমাজ জেলা প্রশাসকের কাছে সিলেটের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান ও উন্নয়নমূলক দাবিদাওয়া তুলে ধরেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
ওসমানী মেডিকেল কলেজে রোগীদের সাথে দুর্ব্যবহার বন্ধ নগরীতে চুরি-ছিনতাই রোধ
দরগাহ এলাকায় অনৈতিক কার্যকলাপ প্রতিরোধ
ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যাণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা
মসজিদ ভিত্তিক প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা চালু
প্রাথমিক স্তরে গান ও ট্রান্সজেন্ডার শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ ঢাকা-সিলেট রুটে নতুন ট্রেন চালু ইত্যাদি।
এছাড়া তাঁকে প্রতি শুক্রবার বিভিন্ন মসজিদে জুমার নামাজে অংশগ্রহণ করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মতবিনিময়ের অনুরোধও জানানো হয়।