1. motinbishnes@gmail.com : সোনালী সিলেট : সোনালী সিলেট
  2. info@www.sonalisylhet.com : সোনালী সিলেট :
সোমবার, ২৬ মে ২০২৫, ০২:১৪ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
দায়িত্ব সম্পূর্ণ করেই সরকারকে যেতে হবে, মাঝপথে চলে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই মে মাসের ২৪ দিনে এল সোয়া ২ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স ড. ইউনূস জুন মাসের ৩০ তারিখের পর একদিনও ক্ষমতায় থাকবেন না: প্রেস সচিব সিলেটে পাঁচ লাখ টাকার ভারতীয় ক্রীমসহ একজন গ্রেফতার সুনামগঞ্জে স্কাউটসের উদ্যোগে গবেষণা ও মূল্যায়ণ ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত সুনামগঞ্জে তারুণ্য নির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মাণ’ বিষয়ক আলোচনা সভা সম্পন্ন সর্বদলীয় বৈঠক ডাকলেন প্রধান উপদেষ্টা নিরপেক্ষতা রাখতে বিতর্কিত উপদেষ্টাদের বাদ দেয়ার দাবি বিএনপির নির্বাচনের আগে সংস্কারের দাবি জামায়াতের সুনামগঞ্জে বিনামূল্যে চক্ষু রোগীদেরকে সেবা দিল এনজিও পদক্ষেপ

সিলেট নগরীর খুলিয়াটুলায় নিহত কিশোরীর মা বলছেন মেয়েটি অভিমানে আত্মহত্যা করেছে

স্টাফ রিপোর্টার🖊
  • প্রকাশিত: রবিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৪৩ বার পড়া হয়েছে

 

সিলেট নগরীর খুলিয়াটুলা নিলীমা ৭নং বাসায় মায়ের সঙ্গে অভিমান করা সপ্তম শ্রেনী পড়ুয়া লাবিবা রহমান তানহা (১৩) নামে এক কিশোরীর নিথর দেহ বাসার পাশে গলায় টেলিফোনের তার পেঁচানো অবস্থায় পরে থাকতে দেখতে পান স্থানীয়রা ।

নিহত লাবিবা রহমান তানহা নগরীর খুলিয়াটুলা নিলীমা ৭নং বাসার মৃত মুজিবুর রহমান সাজুর মেয়ে। মোবাইল ফোন ব্যবহারে বাধা দেওয়ায় মায়ের সঙ্গে অভিমান করে আত্মহত্যা করতে পারে বলে , প্রাথমিক তদন্তে এমনটি ধারণা করছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, শনিবার রাতে মোবাইল ফোন ব্যবহার নিয়ে লাবিবাকে শাসন করেন তার মা। এ কারণে কি সে অভিমান করে ঘর থেকে বের হয়ে যায়। রাতে ঘরে না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু করে তার পরিবার। পরে ভোরে বাসার পাশের গলির এক কোনে গলায় টেলিফোনের তার পেঁচানো অবস্থায় পরে থাকতে, দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।

এসএমপির কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক বলেন, কিশোরীটির বাবা মৃত মুজিবুর রহমান সাজু ২০১৯ সালে মারা যান। তার বড় বোন দেশের বাইরে থাকে। বাসায় আরেক বোন ও মা সহ থাকতো। সে একটি মাদ্রাসায় সপ্তম শ্রেনীতে পড়তো। এ অবস্থায় তার মধ্যে আচরণগত কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারেন তার মা। ৩ বোনের মধ্যে সবার ছোট লাবিবা মোবাইল ফোন অতিরিক্ত ব্যবহার করার কারণে শনিবার রাতে তাকে শাসন করেন তার মা।

মায়ের সঙ্গে অভিমান করে সে বাথরুমে প্রবেশ করে। মা ক্ষোভে তাকে বাথরুমে আটকে রেখে বাইরে থেকে লক করে রাখেন। পরে তার বড় বোন বাথরুমের দরজা খোলে দিতেই বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, রাত ২টা থেকে ৩টার মধ্যে সে আত্মহত্যা করেছে। কেননা, সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, সে বাসা থেকে বেরিয়ে যায়নি।
কিন্তু মৃত দেহটি পাওয়া যায় বাসার পাশের গলির এক কোনে গলায় টেলিফোনের তার পেঁচানো অবস্থায় ।

নিহত কিশোরীর মা জানিয়েছেন , লাবিবা অনেক সময় এভাবে রাগ করে বাসা থেকে বেরিয়ে বান্ধবীর বাসায় চলে যেতো। খোঁজ নিতে গেলে তাকে বলা হতো সে আসেনি, যাতে টেনশনে রাখতে পারে। এ কারণে তাকে খোঁজ করতে যাননি মা। সকালে তার মরদেহ বাসার পাশের গলির এক কোনে গলায় টেলিফোনের তার পেঁচানো অবস্থায় দেখতে পান প্রতিবেশিরা। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন রিপোর্ট প্রস্তুতের জন্য ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানে অন্যকোনো ঘটনা রয়েছে কি না, তা আমরা চুলছেড়া বিশ্লেষণ করেছি। নিহতের ফুফাতো ভাই-বোন দু’জন চিকিৎসক। ঘটনাস্থলে তারাও উপস্থিত থাকায় ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে নিশ্চিত দাবি করা হয়েছে। ময়না তদন্তে শেষে লাবিবার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট