সিলেটের রাজনীতিতে নির্বাচনী উত্তাপ স্পষ্ট—বড় দলগুলো মাঠে নেমেছে, নতুন মুখ ও পুরনো প্রতিদ্বন্দ্বীরা সক্রিয়।
২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিলের মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় সিলেটের রাজনীতিতে এখন নির্বাচনী প্রস্তুতি ও প্রচারণার জোয়ার বইছে নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরা হলো।
সিলেট-১ আসন: প্রতীকী গুরুত্ব ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা
এই আসনকে “সরকার গঠনের ইঙ্গিত” হিসেবে দেখা হয়, অর্থাৎ যে দল এখানে জয়ী হয়, তারা সাধারণত সরকার গঠন করে থাকে।
বিএনপির দুই উপদেষ্টা—খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির ও সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী—প্রার্থী হতে আগ্রহী। আরিফুল হক সম্প্রতি বন্দরবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেছেন।
তিনি তারেক রহমানকে সিলেট-১ থেকে নির্বাচন করার আহ্বান জানিয়েছেন, যা স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
ধর্মভিত্তিক দলগুলোর মধ্যে ও সক্রিয়তা যেমন
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ—এই পাঁচটি দল ইতিমধ্যে সিলেট বিভাগের ১৯টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে।
তরুণ ও প্রবাসী নেতাদের প্রাধান্য দিয়ে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, যাতে করে তরুণ ভোটারদের আকৃষ্ট করা যায়।
জামায়াতের পক্ষ থেকে সিলেট-১ আসনে এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, খেলাফত মজলিসের পক্ষ থেকে ভাষা সৈনিক অধ্যক্ষ মুহাম্মদ মাসউদ খান প্রার্থী হয়েছেন।
নির্বাচনী মাঠে প্রার্থীরা এলাকায় শোডাউন, প্রচারণা ও জনসংযোগ প্রায় শুরু করেছেন।
তৃণমূলের মতামত ও জনগণের চাহিদা বিবেচনায় দলগুলো মনোনয়ন দিয়েছে, যা রাজনৈতিক কৌশলের অংশ।
এদিকে সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জে নির্বাচনী প্রস্তুতি জোরদার—বড় দলগুলো মনোনয়ন চূড়ান্ত করতে ব্যস্ত, মাঠে সক্রিয় সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সিলেট বিভাগের এই তিন জেলায় রাজনৈতিক দলগুলো মনোনয়ন প্রক্রিয়া, প্রচারণা এবং জোট সমন্বয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে। নিচে জেলার ভিত্তিতে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো।
সুনামগঞ্জ-১ (জগন্নাথপুর-দক্ষিণ সুনামগঞ্জ): আলোচনায় রয়েছেন মাহবুবুর রহমান ও কামরুজ্জামান কামরুল।
সুনামগঞ্জ-৩ (জামালগঞ্জ-শাল্লা-দিরাই): এমএ সাত্তার ও কয়ছর এম আহমেদ প্রচারণায় সক্রিয়।
সুনামগঞ্জ-৪ (ছাতক-দোয়ারাবাজার): দেওয়ান জয়নুল জাকেরীন ও নুরুল হক নুরুল মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে আলোচনায়।
মৌলভীবাজার-১ (বড়লেখা-জুড়ী): শরিফুল হক সাজু মাঠে সক্রিয়।
মৌলভীবাজার-২ (কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল): বদরুল আলম চৌধুরী শিপলু নির্বাচনী প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
কমলগঞ্জে কৃষি কর্মকর্তার সংকট ও লাউয়াছড়া উদ্যানে প্রাণীর বিচরণ কমে যাওয়ার মতো স্থানীয় ইস্যুগুলোও নির্বাচনী আলোচনায় প্রভাব ফেলছে।
হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল): তালহা চৌধুরী ও শেখ সুজাত মিয়া মনোনয়ন প্রত্যাশী।
হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরিগঞ্জ): আহমেদ আলী মুকিব।
হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর): শাম্মী আক্তার শিপা প্রচারণায় রয়েছেন।
বিএনপি অক্টোবরের মধ্যে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে চায়, যাতে প্রতিপক্ষের সুযোগ কমে।
আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির মধ্যে আসন ভাগাভাগির আলোচনা চলছে, বিশেষ করে হবিগঞ্জ-১ আসনে জাপার প্রার্থী এম এ মুনিম চৌধুরী বাবুর বিষয়ে।
স্থানীয় ইস্যু, প্রবাসী ভোটার, ধর্মীয় নেতাদের প্রভা
সব মিলিয়ে নির্বাচনী মাঠে কৌশলগত প্রস্তুতি চলছে।
রাজনৈতিক ইতিহাস, বড় দল গুলোর অবস্থান, বা তরুণ ভোটারদের ভূমিকা নিয়ে বিশ্লেষণ করলে সেটা হবে এবারের জাতীয় নির্বাচন চোঁখে পড়ার মতো ।