সিলেট রেলওয়ের স্টেশন ম্যানেজার নুরুল ইসলামের বক্তব্য পুরোপুরি সত্য নয়। সিলেট রেলস্টেশনে এখনও টিকিট কালোবাজারির সমস্যা বিদ্যমান রয়েছে যা কোজ নিয়ে জানা গেছে । সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিলেট রেলস্টেশনে যাত্রীসেবার মান উন্নত হলেও টিকিট কালোবাজারিদের দৌরাত্ম্য এখনো কমেনি।
প্ল্যাটফর্ম পরিষ্কার, হকার ও ভিক্ষুকমুক্ত, ট্রেনের বগি ও ওয়াশরুমও পরিচ্ছন্ন রাখা হচ্ছে। তবে টিকিট না পাওয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিনের, এবং কালোবাজারি চক্র এখনো সক্রিয়ভাবে টিকিট বিক্রি করছে বেশি দামে।
স্টেশন ম্যানেজার নুরুল ইসলাম নিজেও স্বীকার করেছেন যে তার জন্য আলাদা কোনো টিকিট বরাদ্দ থাকে না, কিন্তু অনেকেই তা বুঝতে চান না। তিনি যাত্রীসেবার মান উন্নয়নে কাজ করছেন, তবে কালোবাজারি রোধে তার প্রচেষ্টা এখনও পুরোপুরি সফল হয়নি।
আরও উদ্বেগজনক তথ্য হলো, গোয়েন্দা সংস্থার একটি প্রতিবেদনে সিলেট রেলস্টেশনে ২২২ জন কালোবাজারির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে যে টিকিট থাকা সত্ত্বেও সাধারণ যাত্রীদের কাছে তা বিক্রি করা হয় না। বরং শূন্য আসনের তথ্য কালোবাজারি চক্রকে জানিয়ে দেওয়া হয়, যারা পরে বেশি টাকায় তা বিক্রি করে।
কালোবাজারিরা এখনো বিদ্যমান রয়েছে আর সেটা পুরাতন সমস্যা চাইলেই সহজে রোধ করা সম্ভব নয়
ম্যানেজারের প্রচেষ্টা আছে, কিন্তু সমস্যা পুরোপুরি সমাধান করতে সময়ের প্রয়োজন কালোবাজারিদের সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হবে প্রশাসন চাইলেই সম্ভব ।
কালোবাজারি এড়াতে বাংলাদেশ রেলওয়ে ইতিমধ্যে বেশ কিছু কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত, ভিজিলেন্স টিম, এবং অনলাইন টিকিট ব্যবস্থার উন্নয়ন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় বিভিন্ন স্টেশনে হঠাৎ অভিযান চালিয়ে কালোবাজারিদের গ্রেফতার করা ।
ভিজিলেন্স টিম গঠন: গোপন তথ্যের ভিত্তিতে টিকিট কালোবাজারিদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া
অনলাইন টিকিটিং সিস্টেম: টিকিট বিক্রির স্বচ্ছতা বাড়াতে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে টিকিট বিক্রির পরিমাণ বাড়ানো প্রয়োজন
জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই: টিকিট ক্রয়ের সময় NID
যাচাইয়ের মাধ্যমে একাধিক টিকিট কেনা নিয়ন্ত্রণ করা দরকার
সীমিত সংখ্যক টিকিট বিক্রয়: একজন যাত্রী সর্বোচ্চ ৪টি টিকিট কিনতে পারেন যাতে কালোবাজারির সহজে টিকিট কিনতে না পারে সে দিখে স্টেশন ম্যানেজারের নজরদারির প্রয়োজন বলে ভোক্তভোগীরা জানোয়াছেন ।