সিলেটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) সারওয়ার আলম জানিয়েছেন, ১৫ দিনের মধ্যে ঢাকা–সিলেট মহাসড়ক সংস্কারে দৃশ্যমান অগ্রগতি হবে। এই ঘোষণা এসেছে চলমান আন্দোলন ও জনদুর্ভোগের প্রেক্ষিতে।
সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা–সিলেট মহাসড়কের করুণ অবস্থার কারণে সিলেটবাসী চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ মানুষ একত্রিত হয়ে আন্দোলনে নেমেছেন এবং প্রশাসনের কাছে দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।
সিলেটের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে ৮ দফা দাবিতে সমাবেশ ও প্রতীকী শাটডাউন’ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি পেশ করা হয়েছে, যাতে মহাসড়কের দ্রুত সংস্কারসহ অন্যান্য দাবির কথা বলা হয়েছে।
১৫ দিনের আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে, যাতে এই সময়ের মধ্যে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি নেওয়া হবে।
ছয় লেন প্রকল্পের অগ্রগতি মাত্র ১৫–১৬%, যদিও কাজ শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে।
চার লেন প্রকল্পে প্রায় ৬০% কাজ শেষ হয়েছে, তবে মাঝপথে নির্মাণবিরতি ও ভূমি অধিগ্রহণের জটিলতায় বিলম্ব হয়েছে।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হক জানিয়েছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশে কাজ দ্রুত শেষ হবে।
রোববার প্রতীকী ধর্মঘট এবং সোমবার গণ-অবস্থান ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
– আন্দোলনকারীরা বলছেন, “এখন আর চুপ করে থাকার সময় নয় সিলেটবাসী দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত যোগাযোগ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
এই আন্দোলন ও প্রশাসনিক প্রতিশ্রুতি সিলেটবাসীর দীর্ঘদিনের দুর্ভোগের অবসান ঘটাতে পারে—তবে বাস্তব অগ্রগতি দেখতে হলে আগামী ১৫ দিন গুরুত্বপূর্ণ।