মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই সম্ভাব্য সাইবার হামলার আশঙ্কায় কড়া নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে ইরান। দেশটির সরকার বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) থেকে দেশজুড়ে ইন্টারনেট সংযোগ আংশিকভাবে বন্ধ রেখেছে। ইরানের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বলেছে, বিদেশি শত্রুপক্ষ দেশটির গুরুত্বপূর্ণ নেটওয়ার্কে আঘাত হানতে পারে, তাই এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার থেকেই ইরানের সাধারণ জনগণ ব্রডব্র্যান্ড এবং মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট সংযোগ পাচ্ছেন না। শুক্রবার (২০ জুন) এক বিবৃতিতে ইরানের যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানায়, “দেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো রক্ষা এবং শত্রুর সাইবার আক্রমণ প্রতিহত করতে আমরা সাময়িকভাবে ইন্টারনেট পরিষেবা সীমিত করেছি।”
ইরানের আধাসরকারি সংবাদ সংস্থা তাসনিম নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদন অনুসারে, সাইবার হামলার হুমকি এতটাই গুরুতর যে শত্রুপক্ষ একটি “সাইবার আর্মি” তৈরি করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই সাইবার বাহিনী ইরানের মূল ওয়েবসাইটগুলো ধ্বংস করে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে এবং নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তিকে ডিজিটালি নজরদারির আওতায় নেওয়ার চেষ্টা করছে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইন্টারনেট পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ করা হয়নি। অভ্যন্তরীণভাবে সীমিত পর্যায়ে কিছু সংযোগ চালু রাখা হয়েছে, যেন প্রশাসনিক ও জরুরি কাজকর্ম পরিচালনা সম্ভব হয়। তবে সাধারণ জনগণের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার থেকেই তারা কোনো ধরনের ব্রডব্র্যান্ড কিংবা মোবাইল ইন্টারনেট পাচ্ছেন না।
সাইবার হামলা এখন শুধু একটি প্রযুক্তিগত হুমকি নয়, বরং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার গুরুতর ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। ইরানের এই পদক্ষেপ প্রমাণ করে, আধুনিক যুগে সংঘাত শুধু মিসাইল বা সামরিক হামলা দিয়ে সীমাবদ্ধ নয়, বরং তথ্যপ্রযুক্তি ও সাইবার আক্রমণ এখন যুদ্ধের বড় অস্ত্র হয়ে উঠছে। তথ্যসূত্র : তাসনিম নিউজ